Breaking News

মিলোভার রিকুয়েস্টে এবার আইনস্টাইন বললেন,"এতো সাজগোজের

আইনস্টাইনের পোশাকের অবস্থাছিলো খুব খারাপ। দশদিনের না ধোয়াজামাপ্যান্ট পড়েই কাজে চলে যেতেন। মাঝে মাঝে দুপায়ে দুরঙের মোজা পড়ে বের হয়ে যেতেন। স্ত্রী মিলোভার সাথে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি লেগেই থাকতো। একদিন মিলোভা ক্ষেপে গেলেন! তখন আইনস্টাইন বললেন, "এতো সাজগোজের কি দরকার আছে? ভার্সিটিতে তো সবাই আমাকে চিনেই। "এরপর একদিন সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নতুন এক কনফারেন্সে যাওয়ার সময় হলো।
মিলোভার রিকুয়েস্টে এবার আইনস্টাইন বললেন,"এতো সাজগোজের
কি দরকার আছে? ওখানে তো কেউই
আমাকে চিনেনা!" .চলার সময়ও খেয়াল
থাকতোনা আইনস্টাইনের। সারা
লাইফে কমসে কম কয়েকশোবার গাড়ির
তলে পড়তে পড়তে বাঁচছেন। একবার
মাদাম কুরীর সাথে কথা বলতে বলতে
হাঁটছিলেন। তিনি বুঝান আপেক্ষিকতা
আর কুরী বুঝান তেজস্ক্রিয়তা। বুঝাতে
বুঝাতে আইনস্টাইনের খেয়াল
নাই।.কিছুক্ষণ পর মাদাম কুরী বকবক না
শুনে পাশ ফিরে দেখেন পাশে
আইনস্টাইন নাই। পরে দেখলেন,
আইনস্টাইন বেচারা বেখেয়ালে
রাস্তার পাশে এক নালার গর্তে পড়ে
গেছেন!!কোনোমতে উঠার পর
ধুলাকাদাওয়ালা আইনস্টাইনকে দেখে
মাদাম কুরীর দুই মেয়ের হাসতে হাসতে
চোখে পানি চলে এলো! .আরেকবার
প্রিন্সটন থেকে ট্রেনে কোথাও
যাচ্ছিলেন। টিকেট চেকার টিকেট
খুজতে এলে টিকেট দেখাতে
পারলেননা। কোটের পকেটে নাই,
ট্রাউজারের পকেটেও নাই, এমনকি
ব্রিফকেসেও নাই!অসহায় বিজ্ঞানীকে
দেখে চেকার বললেন, "স্যার, আমরা
জানি আপনি কে। আপনার মত মানুষের
টিকেট না হলেও চলবে। কোনো
অসুবিধা নেই। আপনি শান্ত হয়ে
বসুন।" .কিন্তু আইনস্টাইন শান্ত না হয়ে
উল্টা অশান্ত হয়ে গেলেন। এখানে
ওখানে খুজে না পেয়ে শেষে নোংরা
সিটের তলায় হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে
যাচ্ছিলেন।চেকার এসে ধরে ফেললো,
"আরে স্যার, আপনে পাগলামি করেন
ক্যান? আমরা জানি আপনি কে। আপনি
শান্ত হয়ে..".আইনস্টাইন প্রায় কেঁদে
দিলেন, "আরে ভাই আমি নিজেও জানি
আমি কে! আমি শুধু জানিনা যে আমি
কই যাচ্ছি!! টিকেটে লিখা ছিলো
আমার ডেসটিনেশন!! এবার আমি কই
নামবো কেমনে বুঝবো! " .এই না হলে
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী!খাওয়ার ঠিক
নেই।চলার ঠিক নেই।বলার ঠিক নেই।
কিন্তু এতো এতো পাগলামির পরও এই
পাগলকেই জন্মের শতবছর পরও এখনো
পৃথিবীর মানুষ মাথায় তুলে
রেখেছে। .সবাই পাগল হতে পারেনা।
পাগল হওয়ার জন্যও যোগ্যতা থাকা
লাগে।কারণ,পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে
না...!!

No comments